Friday, August 19, 2011

শোক দিবসে জন্মদিন পালনের জন্য মানুষ খালেদাকে ক্ষমা করবে না: আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

শোক দিবসে জন্মদিন পালনের জন্য মানুষ খালেদাকে ক্ষমা করবে না: আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
১৮ আগস্ট ২০১১ | ৩ ভাদ্র ১৪১৮
জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া মিথ্যা জন্মদিন পালন করে যে পাপ করেছেন তা এ দেশের মানুষ কোনদিন ক্ষমা করবে না। বেগম জিয়া এখনও মনেপ্রাণে পাকিস্তানী প্রেমিক বলেই পবিত্র সংবিধান ছুড়ে ফেলার মতো ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন। বেগম জিয়ার হাত আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরম্নল ইমাম, সাংবাদিক বালু, নাটোরের মমতাজ, গাজীপুরের আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এসএম কিবরিয়াসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত। যার হাত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর রক্তে রঞ্জিত তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এক টেবিলে বসতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়া দেশের স্বাধীনত, সংবিধান, গণতন্ত্র, আইনের শাসন বিশ্বাস করেন না। শুধু ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করেন। সে কারণেই তিনি বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চান। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, খুনিরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবল্পুব্দকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতাকে অকার্যকর করতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবল্পুব্দকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের স্বপ্নকে সফল করতে দেননি। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তিরা সরকারের বিরুদ্ধে এখনও নানা ষড়যন্ত্র করছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য তিনি শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।ফজলুল হক মন্টু বলেন, স্বাধীনতা যাতে সফল হতে না পারে সে কারণেই চক্রান্তকারীরা বঙ্গবল্পুব্দকে সপরিবারে হত্যা করেছিল।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ১৫ আগস্ট জাতির জনকের শাহাদাত বার্ষিকীতে আর ভূয়া জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের খুশি করার জন্যই যে বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করেই ১৯৯৩ সাল থেকে ১৫ আগস্টকে ভূয়া জন্মদিন পালন করে আসছেন তা আজ জাতির কাছে অত্যন্ত পরিস্কার।এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিরোধী দলীয় নেত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।প্রতিমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম এবার হয়ত আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। জাতির কাছে আপনি ক্ষমা চেয়ে ঘোষণা দেবেন যে, আপনি কেক কেটে আর ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করবেন না। কিন্তু এবারও আপনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন।'বিরোধী দলীয় নেত্রীকে প্রশ্ন করে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসলে আপনার সত্যিকার জন্মদিন কোনটি? প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনার ম্যারেজ সার্টিফিকেট অনুযায়ী দেখা যায় আপনার জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট, আবার সার্ক সম্মেলনে দেয়া তথ্যানুযায়ী দেখা গেছে আপনার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যখন শপথ নিয়েছেন তখন জন্মতারিখ দিয়েছেন ১৯৪৭ সাল।তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনি যখন প্রথম সংসদ নির্বাচন করলেন তখন নির্বাচন কমিশনে দেয়া তথ্যানুযায়ী আপনার জন্ম তারিখ ছিল ১৯৪৬ সালের ১৫ আগস্ট, আপনি যখন প্রথম পাসপোর্ট করলেন সে তথ্যানুযায়ী দেখা যায় আপনার জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ১৯ আগস্ট।
এসব কিছু বাদ দিয়ে হঠাৎ করেই আপনার প্রেস সেক্রেটারী আপনাকে বললেন যে ম্যাডাম আপনার জন্মদিন ১৫ আগস্ট আর তার পর থেকে আপনি ৭৫-এর খুনিদের খুশি করার উদ্দেশ্যে এই ভূয়া জন্মদিন পালন করে আসছেন।নানক বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দ্যেশে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আপনাকে প্রমাণ করতে হবে কোন শক্তির বলে আপনি ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন। নির্ভরযোগ্য তথ্যানুযায়ী প্রমাণিত যে আপনি ১৯৪৪ সালের ৯ আগস্ট ভারতের বীরভূম জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আজকে আপনি আন্দোলনের ভয় দেখান। তিনি বলেন, আপনি জেনে রাখুন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে যদি আপনারও কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তবে আপনাকেও রেহাই দেয়া হবে না।ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ উত্তরের সভাপতি এসএম রবিউল ইসলাম সোহেল-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন।এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না সহ সভায় ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর (উত্তর) থানার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

No comments: