Monday, July 5, 2010

প্রসঙ্গঃ নোবেল শান্তি পুরস্কার, মুহাম্মদ ইউনূস বনাম শেখ হাসিনা





লিখেছেনডক্টর মুশফিক  
১৮ মে (বুধবার), ২০১১ :২৩ পুর্বাহ্ন
(সম্মানিত পাঠকপাঠিকাবৃন্দকে অনুগ্রহ করে নিম্নে উল্লেখিত তথ্যসূত্রগুলো ভালো করে পড়ে এবং যাচাই করে মন্তব্য করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে, ধন্যবাদ )
(
এই লেখাটি যখন শেষ করলাম তখন প্রিয়ব্লগে চ্যানেল আইয়ে দেখলাম বিশ্বের ২য় শীর্ষ ধনকুবের মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন এবং বিভিন্নক্ষেত্রে তার ব্যাপক অবদানের জন্য, বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় তার আগ্রহ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তথা বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন 


 শান্তিতে প্রতিবছর নোবেল পুরষ্কার প্রদান করে নরওয়ের নোবেল শান্তি কমিটি। পাঁচজন সদস্য নিয়ে গঠিত কমিটির কেউই বিশ্বখ্যাত কোন ব্যক্তিত্ব নন, সকলেই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান চেয়ারম্যান থরবোর্ন জ্যাগল্যান্ড নরওয়ের লেবার পার্টির একজন সদস্য। ২০০৬ সালে চেয়ারম্যান ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ওলে ড্যানবোল্ট যিনি ডঃ ইউনূসকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেন। কমিটির বাকি চারজন সদস্যদের মধ্যে ক্যাসি কুলম্যান ফাইভ একাধারে একজন ব্যবসায়ী এবং কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য। চরম বিতর্কিত উগ্র মার্কিনপন্থী এই সদস্যের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ২০০৭ সালে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর কে এবং ২০০৯ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কে নোবেল শান্তি পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়।সিসেল রনবেক হলেন কমিটির অপর সদস্য যিনি একজন রাজনীতিক এবং সাবেক মন্ত্রী।ইঙ্গার ম্যারি ইটারহর্ন এবং এগোট ভেইল যথাক্রমে নরওয়েজিয়ান প্রগ্রেস সোশ্যালিস্ট লেফট পার্টির সদস্যপেশায় যথাক্রমে পার্লামেন্টের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টিটিভ এবং ফিজিওথেরাপিস্ট। তাদের অখ্যাতি এবং পেশার বিবরণ শুনে সচেতনমানসে তাই স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে,যে কমিটির পাঁচজন সদস্যের সকলেই রাজনৈতিক দলের সদস্য,কেউ ব্যবসায়ী কিংবা ফিজিওথেরাপিস্ট,তারা বিশ্বশান্তির কি এমন বোঝেন ? নরওয়ের বুদ্ধিজীবী সমাজের কাউকে কমিটিতে না রেখে সব রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের স্থান দিয়ে নরওয়েজিয়ান সরকার কি নোবেল শান্তি পুরস্কারকে একটি হাস্যকৌতুকে পরিণত করে তোলেন নি
নোবেল শান্তি কমিটিকে নোবেলবিজয়ী নির্ধারণে সহযোগিতা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল ইন্সটিটিউট। সংস্থাটির চেয়ারম্যান গ্যের লুন্ডস্ট্যাড একজন ঐতিহাসিক,যিনি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে লেখালেখি করেন। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ওলাভ নোলস্ট্যাড,দ্যাগ কুল গোটোভ্যাক, সিগরিড ল্যাঞ্জব্রেক,অ্যানি সেসিল জেলিং, টোরিল জোহানসেন এবং বর্ণ হেলগে ভ্যাঞ্জেন। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এদের কেউই বিশ্বনন্দিত কিংবা বড়মাপের ব্যক্তিত্ব নন। উইকিপিডিয়া কিংবা গুগল সার্চ করলেও ব্যাপারটির সত্যতা প্রমাণিত হয়। নরওয়ের এই অখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ কাকে নোবেল প্রাইজ দিলেন আর কাকে দিলেন না,সেটি কোন বিষয়ই নয়। নোবেল শান্তি পুরষ্কারের প্রবর্তক সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল যদি তার জীবদ্দশায় জানতেন যে,তার নামে আজকাল কিছু অপরিচিত অখ্যাত রাজনীতিকেরা অশান্তি কায়েমকারী কূটনীতিক-রাষ্ট্রপ্রধান আর সুদখোর মহাজনদের পুরস্কৃত করছেন,তাহলে লজ্জায় অপমানে ওনার মাথা হেট হয়ে যেত। নোবেল শান্তি পুরস্কারের কয়েকটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেওয়া যাক
)২০০৯ সালে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে বিশ্বকূটনীতি এবং বিশ্বসহযোগিতায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। চাটুকারিতা তোষামোদের কি নিদারুণ উদাহরণ !যে ব্যক্তি পরিবর্তনের মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে জনমানসে আবেগিক ধুঁয়া তুলে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন, তিনি মাত্র বছরে বিশ্ব-সহযোগিতা কূটনীতিতে কি এমন আহামরি অবদান রাখলেন যে তাকে পরের বছরেই নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে হবে ? আজকে আফ্রিকান এশিয়ান দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে উনি হস্তক্ষেপ করছেন,তেল দখলে না আসায় যুক্তরাজ্য ফ্রান্সকে সঙ্গে নিয়ে এবং জাতিসংঘকে নিজের তোষামোদকারী গোলাম বানিয়ে আজকে লিবিয়াতে বোমাবর্ষণ করছেন, এই কি শান্তিতে নোবেল প্রাইজ বিজয়ীর শান্তিরক্ষা শান্তিপ্রতিষ্ঠার নমুনা ? বারাক ওবামার মিথ্যে আশ্বাসে ভুলে মার্কিন জনগণ তাকেই প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করলো আর উনি এসেই চিরাচরিত মার্কিন আগ্রাসনবাদ শুরু করে দিলেন ! বিভিন্ন বক্তৃতায় কিছু মিষ্টি কথা বলা বা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য যদি নোবেল দেওয়া হয়,তো অন্যান্য শক্তিশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা কি দোষ করলেন ?
)২০০৭ সালের বিজয়ী মার্কিন ডেমোক্র্যাট সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর দুনিয়াব্যাপী কার্বন বিলিয়নিয়ার বলে কুখ্যাত, সবুজ প্রযুক্তিকে পুঁজি করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন, মুখে বিদ্যু সাশ্রয়ের কথা বললেও নিজ বাড়িতে অন্যান্য বাড়ির তুলনায় ২০ গুণ বেশি বিদ্যু খরচ করেছেন, ব্যক্তিগত জেটপ্লেনে মাত্রাতিরিক্ত এনার্জি ব্যবহার বেশকটি অতিবিশাল প্রাসাদসম পরিমাপের বাড়ির মালিকানার কারণে ব্যাপকভাবে জনসমালোচিত হয়েছেন। 
)২০০৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় বায়োলজিতে বিএস বলে দাবি করা ওয়াঙ্গারি মাথাই কে যিনি দাবি করেন,এইডসের জীবাণু এইচআইভি- ৎপত্তি কোন বানর থেকে নয়, বরং শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসকেরাই নাকি আফ্রিকার জনগণকে ধ্বংস করার জন্য এটিকে তৈরি করেছে। এর জন্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠলে উনি পূর্ববক্তব্যকে অস্বীকার করেন,এবং নতুন বক্তব্যেও কিছু অসংলগ্ন কথার অবতারণা করেন এই বলে যে,এইচআইভি কোন বায়োলজিক্যাল এজেন্ট কিনা উনি তা সঠিক জানেন না। যদি তাই- হয় তবে বায়োলজিতে বিএস বলে নিজেকে দাবি করাটা মিথ্যাচার নয় কি ? কিছু বৃক্ষরোপণ করে, নারী অধিকার গণতন্ত্র নিয়ে দুচার কথা বলে যদি মাথাইয়ের মত নোবেল পুরস্কার পাওয়া যায়,তাহলে দুনিয়ার লাখ লাখ ব্যক্তিকেই অনায়াসে নোবেল পুরস্কার দেওয়া যায়।
)১৯৯৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় ইসরায়েলের ইযহাক রাবিন, শিমন পেরেজ এবং প্যালেস্টাইনের ইয়াসির আরাফাতকে। আরাফাত মুসলিম বিশ্বে নায়ক হিশেবে সমাদৃত হলেও পশ্চিমে তার অবস্থান একজন অনুতাপহীন সন্ত্রাসী যুদ্ধাপরাধী হিশেবে, মূলত ৭০-৮০ দশকে হাইজ্যাকিং, কিডন্যাপিং এবং জিম্মিকরণের কারণে উনি পশ্চিমে রীতিমত একজন খলনায়ক হিসেবেই পরিগণিত। ইযহাক রাবিন শিমন পেরেজ এমন না হলেও নোবেল প্রাইজ পাওয়ার মত তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কাজ করেননি। ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন দুপক্ষকেই শান্ত করার জন্য তাদেরকে নরওয়েতে এনে গোপনে অসলো চুক্তি করিয়ে আর শান্তি পুরস্কার দিয়ে চুপ করানো হয়।

)১৯৯২ সালে গুয়েতেমালার রিগোবার্তা মেঞ্চুকে পুরস্কৃত করা হয় যেই মেঞ্চু ১৯৮১ সালে গুয়েতেমালা থেকে মেক্সিকোতে পালিয়ে যান এবং সেখান থেকেআমি রিগোবার্তা মেঞ্চুশীর্ষক আত্মজীবনী লেখেন যেখানে তিনি গুয়েতেমালার জাতিগত বিভেদ, আদিবাসী-উপজাতিদের প্রতি শোষণ-বঞ্চনা-নিপীড়নের এক মেলোড্রামাটিক বর্ণনা উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে মার্কিন নৃতত্ত্ববিদ ডেভিড স্টোল ব্যাপক তথ্য অনুসন্ধান,পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার মাধ্যমে সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, আত্মজীবনীর বেশ কিছু তথ্য চরম অসঙ্গত, বিভ্রান্তিকর এবং নির্জলা মিথ্যা।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে নোবেল কমিটি তাদের নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথিত বক্তব্যকে ঘুরিয়ে সাফাই গায় এই বলে যে-শুধু নাকি গ্রন্থটির জন্যই তাকে নোবেল দেওয়া হয়নি এবং ডেভিড স্টোলের নাম নিয়ে বলা হয়,স্টোল নাকি মেঞ্চুর নোবেল বিজয় সমর্থন করেন ! ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশে কত দেশত্যাগী মানুষ রয়েছেন,অনেকেই সেই দুঃসহ স্মৃতির আবেগঘন হৃদয়বিদারক বর্ণনা দিয়ে বই লিখেছেন,তাদের কাউকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হলোনা অথচ মেঞ্চু মেক্সিকোতে পালিয়ে একটি মিথ্যে তথ্যসংবলিত বই লিখেই নোবেল পেয়ে গেলেন।নোবেল কমিটির বিচারের প্রশংসা করতে হয় !
)১৯৭৯ সালে মিশরের আনোয়ার সাদাত ইসরায়েলের মেনাশিম বেগিনকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয় শুধুমাত্র ইসরায়েল-মিশরের দ্বিপাক্ষিক শান্তিচুক্তির কারণে, কথিত আছে, দুজনেই ব্রিটিশ আমলে সহিংস আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। )১৯৭৩ সালে ভিয়েতনামের লি ডাক থোর সঙ্গে যৌথভাবে পুরস্কৃত করা হয় কুখ্যাত কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জারকে যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতা করেছিলেন,পাকিস্তান সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বা ইন্টারন্যাশনাল বাস্কেট কেস বলে বিদ্রূপ করেছিলেন,১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছেন, কম্বোডিয়ায় বোমাবর্ষণ দক্ষিণ আমেরিকায় অপারেশন কনডরের মত কুখ্যাত সামরিক অভিযানে পেছন থেকে কলকাঠি নেড়েছিলেন। তার মত এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া শান্তি বিষয়টির প্রতিই চরম অবমাননা !এবার আসা যাক ডঃ ইউনূস প্রসঙ্গে, ২০০৬ সালে ডঃ ইউনূসকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিতে যেয়ে নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে ডঃ ইউনূস অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন, বিল ক্লিনটনের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হয়, আরো বলা হয়, ইউনূসকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে নোবেল কমিটি ইসলাম পশ্চিমের দূরত্ব হ্রাস করতে চায়। এছাড়া নারী ক্ষমতায়নের পথ সুগম করা বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অংশ হিশেবে ডঃ ইউনূস কে নোবেল কমিটি সম্মাননা প্রদান করছে
প্রশ্ন হলো, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে আমাদের দেশের মত এমন নিদারুণ দারিদ্র নেই, তাই দারিদ্র বিমোচনের জন্য ক্ষুদ্রঋণের বিশেষ প্রয়োজনও নেই তবে ব্যবসা বাণিজ্যই যদি মূল উদ্দেশ্য হয় যার মূল লক্ষ্য থাকে মুনাফা অর্জন,তবে হাজারটা ক্ষুদ্রঋণদান প্রতিষ্ঠান খোলা তো যেতেই পারে। ক্ষুদ্রঋণ একটি মহাজনি ব্যবসা, সুদসহ আসল না পেলে মহাজন যেমন জমি বসতভিটা ক্রোক করে নেয়,তেমনি গ্রামীনব্যাংক কর্মকর্তারা ঠিক সময়ে সুদসহ আসল না পেলে জমিজমা-বসতবাড়ি-টিনের চালা,হাঁসমুরগী-গরুবাছুর-হাঁড়িপাতিল-আসবাবপত্র-নাক-ফুল-অলংকারাদি
জোরপূর্বক নিয়ে যায় এমনি অত্যাচারের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন দোহার থানার অভাগী রাবেয়া,দারিদ্রের দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে ক্ষুদ্রঋণে সর্বস্বান্ত হয়ে মারা যান সুফিয়া,এরকম ভুরিভুরি উদাহরণ আমাদের জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে আরো অনেক উদাহরণ জনগণের সামনে অচিরেই তুলে ধরতে যাচ্ছেন ডেনমার্কের নামকরা সাংবাদিক টম হেইনম্যান তার বহুল আলোচিত ‘Caught in microdebt’ প্রামাণ্যচিত্রে। প্রকৃতপক্ষে, ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে গ্রামজনতার দারিদ্র যদি আসলেই বিমোচিত হতো,তাহলে তাদের পরনে নোংরা মলিন ছিন্ন পোশাক থাকতো না,ছেঁড়া গেঞ্জি লুঙ্গি ছেড়ে তারা প্যান্ট শার্ট ধরত,ছেলেমেয়েদের স্কুল-কামাই করে আর বাবার সঙ্গে ক্ষেতেখামারে হালচাষ করতে হতোনা,কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ এতদিনে ব্যবসাকেন্দ্রিক শিল্পপ্রধান দেশে পরিণত হতো।

দারিদ্র বিমোচনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলেও রাষ্ট্রিক বা আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় এর কোন সরাসরি (Direct) ভূমিকা নেই, রয়েছে পরোক্ষ (Indirect) ভূমিকা। দারিদ্র বিমোচিত হওয়ার পরেও জাতিগত কিংবা আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিভেদের কারণে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। ভিয়েতনামের লি ডাক থো শান্তিতে নোবেল পেয়েও দৃঢ়চিত্তে তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন,“There is still no peace in Vietnam” ডঃ ইউনূস যদি ওনার মতোই নিষ্ঠাবান বড়মাপের মানুষ হতেন তো নোবেল প্রত্যাখ্যান করে বলতেন,স্যরি, বাংলাদেশে এখনো শান্তি আসেনি আর দারিদ্রও বিমোচিত হয়নি। কিন্তু ডঃ ইউনূস দেশ মানুষের কথা কোনদিন ভাবেননি, ডিগ্রি পুরস্কার প্রাপ্তি তথা বিপুল বিত্ত অর্জন করাই তার একমাত্র ধ্যানজ্ঞান-ভাবনা,তাই খুশিতে আত্মহারা হয়ে পুরস্কার নিতে চলে গিয়েছিলেন নরওয়েতে। ২০০৬ সালে নোবেল পাওয়ার পর লোক দেখানোর জন্য আর সমালোচনা থেকে বাঁচতে একবার মাত্র শহীদ মিনারে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, জীবনে আর কোনদিন যাননি।

চিত্রঃ ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তিঃ শেখ হাসিনার কাছে অস্ত্র জমা দিলেন সন্তু লারমা ডিসেম্বর, ১৯৯৭  
দারিদ্র দূরীকরণের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার দূরসম্পর্ক থাকলেও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অবসানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পার্বত্য আদিবাসী উড়ে এসে জুড়ে বসা বাংলাদেশীদের মধ্যে ১৯৭৩-১৯৯৭ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর যখন শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি কমিটির চেয়ারম্যান সন্তু লারমার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তিতে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বা দান, আর্মি প্রত্যাহারকরণ এবং জমিজমা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, বিগত সরকারগুলো যেখানে বাঙালি অভিবাসন, আর্মি নিয়োজিতকরণ জমিজমা দখলের প্রতি আর্মি বাঙালি অভিবাসীদের উস্কানি মদদ দিয়ে যাচ্ছিল,যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের আলাদা জাতিসত্ত্বার প্রশ্নে বিরোধী ছিলেন, সেখানে তারই কন্যা হয়ে অদম্য সাহস সত্যিকারের ইচ্ছে থেকে পার্বত্য সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা নেন শেখ হাসিনা। এই শান্তিচুক্তির ফলে ৭০০০০ সশস্ত্র পার্বত্য আদিবাসী অস্ত্র জমা দিয়ে ফেরারি জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে,পুরোপুরি না পেলেও কিছু জমিজমা ফেরত পায়,আর্মি বাঙালি অভিবাসীদের মধ্যে পূর্বেকার পরিসরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়না,অর্থা কিছুটা হলেও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। এই ব্যাপারগুলো কিন্তু ৩৫ বছরের (১৯৭৬-২০১১) তথাকথিত দারিদ্র বিমোচনের মত কাঁঠালের আমসত্ত্ব নয়,১৯৯৭-২০১১ পর্যন্ত ১৪ বছরে বাঙ্গালি-আদিবাসীদের মধ্যে কিছু সংঘর্ষ হয়েছে কিন্তু কখনোই তেমন বড়মাপের উল্লেখযোগ্য কোন সংঘর্ষ হয়নি, অর্থা শান্তিচুক্তি কিছুটা হলেও সফল হয়েছে। ডঃ ইউনূস মধ্যবিত্ত শিক্ষক থেকে সুদের রমরমা ব্যবসা করে আজকে বিপুল বিত্তবান হয়েছেন, কিন্তু গরীবের অবস্থার উন্নতি হয়নি, তার মানে বিপুল অর্থ দিয়ে কিনতে হয়েছে ডঃ ইউনূস প্রচারিত দারিদ্র দূরীকরণের আফিম, সেই মাদকের মাদকতায় বিভ্রান্ত সহজসরল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই অমানুষিক হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করে ঋণ শোধ দিয়ে কোনমতে বেঁচে আছে আবার কেউ চরম মূল্য দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। বিপরীতে এই শান্তিচুক্তির ফলে শেখ হাসিনার সিন্দুক কিন্তু ডঃ ইউনূসের মত ফুলেফেঁপে ওঠেনি, কেউই সর্বস্বান্ত হয়নি উল্টো শেখ হাসিনাই অনেক বাঙালি অভিবাসীদের বিরাগভাজন হয়েছেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশকিছু ভোট হারিয়েছেন। শেখ হাসিনার শান্তি প্রতিষ্ঠা ডঃ ইউনূসের মত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়। ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন-মিশরের শান্তিচুক্তি একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে, তবুও ইয়াসির আরাফাত, ইযহাক রাবিন, শিমন পেরেজ, মেনাশিম বেগিন আনোয়ার সাদাতেরা নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছেন, অথচ পার্বত্য শান্তিচুক্তি পুরোপুরি সফল না হলেও একেবারেই ব্যর্থ হয়নি, সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনা এবং সন্তু লারমা নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাবেন না কেনচিত্রঃ জাতিসংঘ খাদ্য কৃষি সংস্থা ১৯৯৯ সনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক সেরেস এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে দারিদ্র বিমোচন যদি শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি অংশ হয়, তবে গঙ্গার পানিবন্টন নিয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছরের ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসান ঘটে ১২ই ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে, যখন শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে ৩০ বছরের জন্য গঙ্গা পানিচুক্তিতে আবদ্ধ হন এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করেন। ১৯৮২ সালের পর থেকে বাংলাদেশ পানিই পাচ্ছিল না, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিরাজ করতো চরম খরা, সেচকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে বছরের অনেকটি সময় কৃষকদের বসে থাকতে হতো,পরিবারে বিরাজ করতো চরম দারিদ্র,এখনো দারিদ্র সম্পূর্ণ বিমোচিত না হলেও আগের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থানে আছে কৃষকসমাজ,শেখ হাসিনা তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন এবং তারা পর্যাপ্ত ফসল ফলানোর মাধ্যমে নিজেদের চরম দারিদ্র কিছুটা হলেও বিমোচনে সমর্থ হয়েছে , খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ খাদ্য কৃষি সংস্থার সেরেস এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
হাতের ৫টি আঙুল সমান হয়না,তাই ৭০-৮০% দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের বিপরীতে ২০-৩০% নিষ্ঠাবান রাজনীতিকদের কথা আমরা বলিনা, চোখ বন্ধ করে ঢালাওভাবে রাজনীতি খারাপ, রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী খারাপ বলে গালমন্দ করি। প্রশ্ন হলো,আমরা শিক্ষিত জনগণেরা নিজেরা কতটুকু নিষ্ঠাবান, আমরা কি দুর্নীতি একেবারেই করিনা ? বঙ্গবন্ধু একটি কথা বলেছিলেন, দুর্নীতি আমাদের দেশের গরীব কৃষক সমাজ করেনা, দুর্নীতি করে আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকজন। আসলেও তাই, সামান্য একটু বিদ্যে অর্জন করেই আমরা আজকে নিজেদেরকে বড় বিদ্বান বলে মনে করি, স্বল্পজ্ঞান দিয়ে যুক্তির ধার না ধেরে আবেগিকভাবে পত্রপত্রিকায় ব্লগে নিজেদের মনমত যা খুশি তাই লিখে আমরা আমাদের সুবিধাবাদী স্বার্থবাদী চরিত্রটাই প্রকটিত করে তুলি। আমাদের দেশের চাকুরীজীবীরা ঘুষ খান এবং ঘুষ দেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ছলেবলে কৌশলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে মার্কেট থেকে বিরাট অংকের টাকা লুটে নেন, আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত শ্রেণীর ব্যবসায়ী সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগ আসলে আওয়ামী লীগের ধামা ধরেন, বিএনপি আসলে বিএনপির ধামা ধরেন, মন্ত্রি্গণ নিশ্চয়ই কিছু না কিছু দুর্নীতি করেন, কিন্তু মন্ত্রীরা তো হাতে গোণা কজন, অফিস আদালত কোর্ট কাছারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত শ্রেণীর লোকজন বসেন, তারা কি ধোঁয়া তুলসীপাতা ? তবুও আমরা একতরফাভাবে রাজনৈতিক নেতাদেরই শুধু দোষ দিয়ে যাই, আমরা শিক্ষিত শ্রেণীরা নিজেরাও যে একই দোষে দুষ্ট সেটা খেয়াল করিনা কৃষক সমাজ কিন্তু ঘুষ খায়না, কারণ তাদের পেশায় ঘুষের বিষয়টিই নেই, কৃষকসমাজ পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেনা, ব্লগে উদ্ভট কথাবার্তা লিখে রাষ্ট্র সরকারকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করেনা, কৃষকসমাজ সরকার বদলের সাথে সাথে আমাদের মত কায়েমি স্বার্থবাদী সুবিধাবাদী চরিত্রটি প্রকটিত করেনা। রাজনীতিকদের যেমন দোষ আছে,আমাদেরও তেমনি অনেক অনেক দোষ আছে। 
এবার দেব উইকিলিকসের মতোই সাড়া জাগানো একটি খবর,বিল ক্লিনটনের পেছন থেকে সমর্থন থাকলেও ডঃ ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর তথা গ্রামীনফোনের ব্যবসায়িক পার্টনার টেলিনরের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা, ডঃ ইউনূসের বিশিষ্ট বন্ধু স্টেইন টোনেসন যিনি ডঃ ইউনূসকে নোবেল বিজয়ী করার পেছনে তদবির করেন। উল্লেখ্য যে, টেলিনর নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রধান স্পনসর। এই টেলিনরের আমন্ত্রণপত্রের মাধ্যমেই উনি ঘনঘন নরওয়ে সফরে যেতেন। 
পরিশেষে আরেকটি উদাহরণের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দেব যে নোবেল শান্তি পুরস্কার একটি চরম ভিত্তিহীন পুরস্কার। অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রবক্তা বিশ্ব জুড়ে মহাত্মা এবং বাপু নামে পরিচিত মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধীর মত এত বড় সমালোচনাহীন শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন না আর সেখানে অখ্যাত কুখ্যাত অনেক ব্যক্তিই নোবেল পেয়ে গেলেন,বিষয়টি সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণ করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের ন্যূনতম ভিত্তি নেই।  
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পেছনে বিল ক্লিনটন/টেলিনর/স্টেইন টোনেসন/পুঁজিবাদী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা না থাকলেও তিনি দুই -দুই বার জাতিসংঘের ইউনেস্কো শান্তি পুরষ্কার খাদ্য কৃষি সংস্থার সেরেস এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন, এছাড়াও পেয়েছেন ভারত সরকারের ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার,নোবেল বিজয়ী পার্ল এস বাক পুরস্কার, মাদার তেরেসা পুরস্কার। এগুলো আমাদের চোখে পড়েনা কেননা মুহাম্মদ ইউনূসের মতন শেখ হাসিনা এগুলো বিশ্বব্যাপী প্রচার করে বেড়াননি, শেখ হাসিনার ডিগ্রীগুলো যদি লবিং করে প্রাপ্ত বলে অভিযোগ ওঠানো হয়, তাহলে সেই বিচারে মুহম্মদ ইউনূসের লবিং পাওয়ার তো আরো অনেক বিশাল বিস্তৃত, বিল ক্লিন্টন, হিলারী ক্লিনটন, বারাক ওবামা, জার্মান চ্যান্সেলর মারকেল, স্পেনের রাণী সোফিয়া, জাপান ফ্রান্স সরকার, আইএমএফ, স্টেইন টোনেসন, টেলিনর, নরওয়ে সরকার কেউই তো বাদ নেই। অর্থমূল্যে কিংবা প্রচারণার ভিত্তিতে জাতিসংঘের পুরষ্কারগুলো কম হতে পারে, কিন্তু একথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, নোবেল কমিটি থেকে জাতিসংঘ অনেক বড় একটি প্রতিষ্ঠান আর আলফ্রেড নোবেল কিংবা জ্ঞানী-গুণীজন কিন্তু নোবেল পুরস্কার দিচ্ছেন না,দিচ্ছেন কিছু রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং ফিজিওথেরাপিস্টরা। নোবেল শান্তি পুরস্কার রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই তার ফ্যাক্টস এন্ড ফাইলস ৫০ বছরের পর্যন্ত গোপন রাখা হয় যাতে তাদের ভুলভ্রান্তি এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিপ্রীতি নিয়ে কেউ সমালোচনা কিংবা প্রশ্নের উদ্রেক করতে না পারে। এটর্নি জেনারেল মহবুবে আলম শুধু দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই শেখ হাসিনা সন্তু লারমার নোবেলপ্রাপ্তির দাবীটি করেছেন,কিন্তু দলীয় দৃষ্টিকোণকে একেবারেই বাইরে রেখে উপরিউক্ত যুক্তি তথ্য প্রমাণাদির বিচারে শেখ হাসিনার নোবেলপ্রাপ্তির দাবী কি ডঃ ইউনূস বা অন্যান্যদের থেকে অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত নয় ? যারা মনে করেন, মুহাম্মদ ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তির কারণে দেশ জাতি সমৃদ্ধ হয়েছে, যারা নোবেল পুরষ্কারকেই দেশ জাতির সম্মানবৃদ্ধির সমৃদ্ধির মাপকাঠি বলে মনে করেন, সেই যুক্তি থেকেই তারা যেন এবার নোবেল কমিটি বিশ্ববাসীর কাছে শেখ হাসিনার জন্য নোবেল পুরষ্কারের দাবী জানিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মত নোবেল বিজয়ী দেশের সম্মানে সম্মানিত করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান কেননা, সবার আগে বাংলাদেশ এবং উপরিউক্ত আলোচনা থেকেই সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়, শেখ হাসিনা নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার যথার্থ দাবীদার কিনা।
dr_mushfique@yahoo.com

তথ্যসূত্রঃ

) নোবেল শান্তি পুরষ্কার কমিটি ইন্সটিটিউটের সদস্যদের অখ্যাতি সাধারণত্ব

) http://en.wikipedia.org/wiki/Norwegian_Nobel_Committee

) http://nobelpeaceprize.org/en_GB/nomination_committee/members/

) http://en.wikipedia.org/wiki/Ole_Danbolt_Mj%C3%B8s

) http://en.wikipedia.org/wiki/Kaci_Kullmann_Five

)http://en.wikipedia.org/wiki/Sissel_Marie_R%C3%B8nbeck

) http://en.wikipedia.org/wiki/Inger-Marie_Ytterhorn

) http://en.wikipedia.org/wiki/%C3%85got_Valle

) http://en.wikipedia.org/wiki/Thorbj%C3%B8rn_Jagland

) http://en.wikipedia.org/wiki/Geir_Lundestad

) বিতর্কিত ভিত্তিহীন নোবেল পুরষ্কারের নমুনা

) http://en.wikipedia.org/wiki/Nobel_Prize_controversies

) http://www.huffingtonpost.com/2010/12/08/nobel-peace-prize-a-look-_n_793837.html#s201964&title=2010_Liu_Xiaobo

) http://listverse.com/2007/10/17/top-10-controversial-nobel-peace-prize-winners/

) http://www.globaltoronto.com/Nobel+controversy/2087337/story.html

) বারাক ওবামার নোবেলপ্রাপ্তি বিতর্ক বিবিসির রিপোর্ট

) http://news.bbc.co.uk/2/hi/8299599.stm

) http://news.bbc.co.uk/2/hi/8405033.stm

) আল গোরের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক

) http://www.newscientist.com/article/dn12779-al-gore-and-climate-panel-win-nobel-peace-prize.html

) http://www.eworldvu.com/national/2007/10/17/al-gores-controversial-nobel-peace-prize.html

) http://en.wikipedia.org/wiki/Al_gore#Criticism

) ওয়াঙ্গারি মাথাইয়ের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক

) http://www.rferl.org/content/article/1056339.html

) http://en.wikipedia.org/wiki/Wangari_Maathai#Controversy

) ইয়াসির আরাফাত, ইযহাক রাবিন শিমন পেরেজের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক

) http://www.tomgrossmedia.com/ArafatArticles.html

) http://historycontroversy.blogspot.com/2009/10/controversial-nobel-peace-prize-winners.html

) রিগোবার্তা মেঞ্চুর নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক

) http://www.siu.no/eng/Front-Page/Global-knowledge/Issues/2010/When-Truth-is-at-stake-The-Rigoberta-Menchu-controversy

) http://www.wmich.edu/teachenglish/subpages/literature/rigobertamenchu.htm

) আনোয়ার সাদাত মেনাশিম বেগিনের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক

) http://listverse.com/2007/10/17/top-10-controversial-nobel-peace-prize-winners/

) http://en.wikipedia.org/wiki/Camp_David_Accords

) হেনরী কিসিঞ্জারের নোবেলপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক

) http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/europe/norway/8193671/Nobel-Peace-Prize-has-often-faced-criticism-from-authoritarian-governments.html

) http://everythingishistory.com/2009/10/15/the-always-controversial-nobel-peace-prize/

) http://bangladeshwatchdog.blogspot.com/2010/10/myth-of-international-basket-case.html

) http://en.wikipedia.org/wiki/Henry_Kissinger

) http://en.wikipedia.org/wiki/Operation_Condor

) http://en.wikipedia.org/wiki/Bombing_of_Vietnam%27s_dikes

) http://www.youtube.com/watch?v=2QLCKkMvz8w

১০) মুহাম্মদ ইউনূসকে নোবেলপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ইসলাম-নারী দারিদ্রকে টেনে নোবেল কমিটির অজুহাতসমূহ

) http://nobelprize.org/nobel_prizes/peace/laureates/2006/presentation-speech.html

১১) নামকরা রিপোর্টার টম হেইনম্যানের প্রামাণ্যচিত্রের বাংলা ভার্শন (Caught In Micro Debt)

) আপলোড করা হচ্ছে, অতিশীঘ্র লিংক দেওয়া হবে

১২) লি ডাক থো- নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান

) http://en.wikipedia.org/wiki/Le_Duc_Tho
১৩) শুধুমাত্র ২০০৬ সালে মুহাম্মদ ইউনূসের স্মৃতিসৌধ এবং শহীদমিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ (ছবিতে তারিখ দেখুন)

) http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=15416 (কমেন্ট অংশের মধ্যভাগে)

) http://www.sachalayatan.com/ranadipam_basu/38164

১৪) পার্বত্য শান্তি চুক্তিঃ বাঙালি পাহাড়ি আদিবাসীদের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি সৌহার্দের মাইলফলক

) http://hdcbandarban.org/index.php?option=com_content&view=article&id=74&Itemid=76

) http://www.bbc.co.uk/bengali/multimedia/2010/12/101202_sachttreaty.shtml

১৫) গঙ্গা পানিচুক্তিঃ ভারত বাংলাদেশের মধ্যেকার দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সমস্যার অবসান

) http://en.wikipedia.org/wiki/Sharing_the_water_of_the_Ganges

) http://users.tkk.fi/~mizanur/Rahaman_Marrakech_2006.pdf

১৬) দুর্নীতিতে লাগাতার পাঁচ বছরের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে গেলে জনসংখ্যার বিপুল অংশের সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন

) http://taiyabs.com/2009/12/25205

) http://www.transparency.org/policy_research/surveys_indices/cpi

) http://www.sachalayatan.com/murtala31/17500

১৭) ইউকিলিকসের মতই গ্রামীন-লিকসঃ ডঃ ইউনূসকে নোবেল বিজয়ী করার মূল তদবিরকারী স্টেইন টোনেসন

) http://governancexborders.com/2010/12/05/and-now-this-grameenleaks/

১৮) স্টেইন টোনেসনের টেলিনর আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা

) http://www.cliostein.com/

) http://en.wikipedia.org/wiki/Stein_T%C3%B8nnesson

১৯) নোরাডকে সম্ভাব্য বিপদের কথা জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূসের লেখা গোপন চিঠি

) http://indiamicrofinance.com/wp-content/uploads/2010/12/Archive.zip

২০) টেলিনর নোবেল শান্তি পুরষ্কারের প্রধান স্পনসর তথা মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যবসায়িক পার্টনার

) http://nobelpeaceprize.org/concert/sponsors.php

)http://www.telenor.com/en/news-and-media/press-releases/2004/telenor-in-nobel-peace-center-partnership

২১) নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী হিসেবে মহাত্মা গান্ধী অবজ্ঞাত নোবেল কমিটির অজুহাত

) http://nobelprize.org/nobel_prizes/peace/articles/gandhi/index.html

) http://www.mkgandhi.org/nobel/nobelpeaceprize.htm

২২) বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাপ্ত পুরষ্কারসমূহ

) http://www.pmo.gov.bd/index.php?option=com_content&task=blogcategory&id=137&Itemid=351


Honorable Prime Minister Sheikh Hasina has said
the opposition leader Khaleda Zia was threatening anti-government agitation to save the war criminals and Islamist militants.
She also said the BNP chief is throwing program’s to protect ill-gotten assets and the corrupt. 
BNP is the unparalleled champion when it comes to backing corruption, terrorism and militancy, Hasina said at a program on Monday in the capital's Osmani Memorial Auditorium organized by Awami League to observe the historical 'Six-Point Day'.
"When we have started procedures of war crimes trial and launching drives against the militants, she (Khaleda) has also started declaring movement programs," the prime minister said. 
She criticized Khaleda's husband and former president General Ziaur Rhaman for siding with the collaborators of the Pakistan army. 

"The war crimes trial process had started, 10,000 criminals were being tried, (former Jamaat-e-Islmai chief) Ghulam Azam was stripped of his Bangladesh citizenship. Ziaur Rahman, however, stopped everything after assuming power. 
"He had freed those who were behind bars and reinstated them into politics by creating a new political party," said Hasina, alluding to BNP's formation. Zia had betrayed three million martyrs, she said. 
The ruling party chief also slated Zia for killing hundreds of army officials, starting with the very people who had helped him to hold onto power. 
Awami League advisory council member Suranjit Sengupta, also present on the occasion, urged the opposition chief to join the budget session of the parliament.

Not on the street, they need to join parliament if they want to talk on the budget, he added.

The program was presided over by deputy leader of parliament Syeda Sajeda Chowdhur. Senior party leaders Amir Hossain Amu, Matia Chowdhury, Sheikh Fazlul Karim Selim, Raziuddin Ahmed Razu, Mahbubul Haque Hanif and Mofazzal Hossain Chowdhury Maya were also present.

2 comments:

Anonymous said...

Dear respected president of Bangladesh Awami League & Our Honourable Prime Minister, Jononetre Sheikh Hasina Assalamo Alaikum. I am a tiny supporter of father of the nation Bangabandhu and your enthusiastic fan and follower.
প্রিয় নেত্রী, খালেদা জিয়া রাজাকারদের নিয়ে আমাদের এই প্রিয় দেশটিকে পাকিস্থান কিংবা আফগানিস্থান বানাতে চেয়েছিল, অন্যদিকে তার দুই ছেলে এদেশের সম্ভাবনাময় যুবগোষ্টীকে নিয়ে বানিজ্য আরম্ভ করেছিল। এর মধ্যে প্রধান ছিল নিয়োগ বানিজ্য। নিয়োগ বানিজ্যের জন্য তারেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল পিএসসি ও অন্যান্য সরকারী অফিস। তাই তাদের দুই ভাইয়ের বানিজ্যের বর্ননা দিয়ে একটি পোষ্ট করলে সেইসময়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুবগোষ্টী কিছুটা হলেও সান্তনা খুঁজে পাবে।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করে শেষ করছি।

Unknown said...

thanks for your nice comment keep it up. joy bangla joy bangabandhu